ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভাল?

আপনার কাছে কি বেশ কিছু অলস টাকা পড়ে আছে? সেগুলোকে কোথাও নিরাপদ ভাবে রাখতে চান? পাশাপাশি এই টাকা থেকেই আরো টাকা বানানোর চিন্তা করছেন? তবে আপনার জন্য আদর্শ বিনিয়োগ হবে ফিক্সড ডিপোজিটে অর্থ জমা রাখা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, “ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভাল?” এবং এই প্রশ্নের উত্তর খুজে বের করার পাশাপাশি এই বিষয়ক গভীর আলোচনা করা হয়েছে এবারের আর্টিকেলে; যা আপনার বিনিয়োগ সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করবে।

ফিক্সড ডিপোজিট কি?

ফিক্সড ডিপোজিট হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের অর্থ, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা করা হয়। ফিক্সড ডিপোজিট সাধারণত সঞ্চয়ী হিসাবের চেয়ে বেশি সুবিধা ও সুদ প্রদান করে। কেননা ফিক্সড ডিপোজিটের অর্থ ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রহণ করে ঋণ প্রদান সহ অন্যান্য স্থানে বিনিয়োগের কাজে ব্যবহার করে।

এটি মূলত বিভিন্ন মেয়াদ ভিত্তিক হয়ে থাকে, যত বেশি মেয়াদি ডিপোজিট করা হবে, তত বেশি সুদ বা মুনাফা পাওয়া যাবে। সাধারণত ফিক্সড ডিপোজিট তিন মাস থেকে শুরু করে তিন বছর পর্যন্ত প্রথম ধাপে হয়ে থাকে। পরবর্তীতে কেউ চাইলে সেটিকে ১০ বছর পর্যন্ত বাড়াতে পারে।

তবে সুদের হারের ক্ষেত্রে তিনটি ধাপ ধরা হয়। প্রথম ধাপে, তিন মাস থেকে এক বছরের মধ্যে হলে সুদের হার এক রকম হবে। এরপর, এক বছর থেকে দুই বছরের মধ্যে হলে সুদের হার আরেকটু বেশি হবে। সবশেষে তিন বছর থেকে শুরু করে গ্রাহকের চাহিদা মোতাবেক বছর পর্যন্ত সুদের হার একরকম হবে। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিতভাবে জানাবো আর্টিকেলটিতেই।

ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভালো
ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভাল

ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা জমা করা উচিৎ হবে কি?

আচ্ছা, এই পর্যায়ে জেনে নেওয়া যাক ফিক্সড ডিপোজিটে ইনভেস্ট করা উচিৎ হবে কি না? প্রাথমিকভাবে বলে রাখতে চাই, এখানে আমাদের কোন লাভ কিংবা ক্ষতি নেই। আমাদের প্রধান এবং একমাত্র উদ্দেশ্য হলো আপনাদের কাছে সঠিক তথ্যটি পৌঁছে দেওয়া। সেই দিক থেকে বলতে গেলে ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা রাখা আপনার উচিত হবে কিনা সেটা নির্ভর করবে আপনার চাহিদার উপরই। এখানে কিছু কন্ডিশন রয়েছে যা উপস্থাপন করছি আশা করি এই কন্ডিশনের মাধ্যমে বিষয়টি বুঝতে পারবেন।

প্রথমতঃ জানিয়ে রাখি “কেন আপনার ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা জমা রাখা প্রয়োজন?” এই কাজটি করার কথা মাথায় তখনই আসে যখন আপনার কাছে প্রচুর অলস টাকা পরে থাকে। এবং আপনি কোন ব্যবসায়ী কার্যক্রমে সময় দিতে না পারার কারণে টাকাগুলোর যথাযথ ব্যবহার করতে পারছেন না, এমতাবস্থায় আপনি চাচ্ছেন টাকাগুলো নিরাপদ থাকুক পাশাপাশি এই টাকা থেকে অতিরিক্ত কিছু মুনাফা পাওয়া যাক। ঠিক এই দৃষ্টিকোণ থেকেই মানুষ ফিক্সড ডিপোজিটে নিজের অর্থ জমা রাখে।

আরো পড়ুনঃ কোন ব্যাংকে ডিপিএস লাভ বেশি?

অন্যদিকে প্রশ্ন হচ্ছে, “ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা জমা রাখা কতটা লাভজনক?” পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায়, ফিক্সড ডিপোজিট এর ক্ষেত্রে সুদের হার হয় সর্বনিম্ন ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। এমতাবস্থায় আপনি যদি এক লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিটে জমা রাখেন, আর আমরা সুদের হার গড়ে ৬% ধরি তবে বছর শেষে আপনি অতিরিক্ত পাচ্ছেন ৬০০০ টাকা। তার পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন চার্জ এবং কর কর্তন।

বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির প্রেক্ষিতে বলতে গেলে টাকার মান প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে আগামী এক বছর পর সুদ বাবদ যে অর্থ পাওয়া যাবে তা এক বছর পরের মুদ্রাস্ফীতির অনুযায়ী আসলেই লাভজনক হবে কিনা সেটা ভেবে দেখা উচিত।

যদি সম্ভব হয় তাহলে ব্যবসা কিংবা অন্য কোন খাতে অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন। আর আপনি যদি একান্তই অন্য কোনো কিছুতে ইনভেস্ট না করতে চান, তাহলে ফিক্সড ডিপোজি ই আপনার জন্য উত্তম পন্থা।

ফিক্সড ডিপোজিটের গুরুত্বপূর্ন বিষয়বস্তু যা জানা উচিৎ

সুদের হার: আপনি যখন কোন ব্যাংকের ফিক্স ডিপোজিট করতে যাবেন তখন সবার প্রথমে যে বিষয়টি দেখা উচিত বা বিবেচনায় আনা উচিত সেটি হচ্ছে সুদের হার। সুদের হার মূলত উঠানামা করবে আপনার জমাকৃত অর্থের পরিমাণ এবং সে অর্থ কতদিন জমা রাখবেন তার উপর।

‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্ তা‘আলাকে ভয় করো এবং সুদের যা অবশিষ্ট রয়েছে তা বর্জন করো যদি তোমরা মু’মিন হওয়ার দাবি করে থাকো। আর যদি তোমরা তা না করো তাহলে আল্লাহ্ তা‘আলা ও তদীয় রাসূলের সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাও’’।

(বাক্বারাহ্ : ২৭৮-২৭৯)

ব্যাংক কতৃক ধার্যকৃত চার্জ সমূহ: অবশ্যই যখন আপনি টাকা জমা রাখবেন তখন সে টাকার রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ হিসেবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু চার্জ ধার্য করবে। সে চার্জগুলো আপনাকে অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। এছাড়াও থাকছে সরকারের কর বা ট্যাক্স।

ফিক্সড ডিপোজিটের সুযোগ – সুবিধা সমূহ

১) ফিক্সড ডিপোজিটের সবচেয়ে বড় যে সুবিধাটি রয়েছে তা হলো নিশ্চিত রিটার্ন। আপনি যখন ফিক্স ডিপোজিটে নির্দিষ্ট পরিমাণের অর্থ জমা রাখবেন সে টাকা তো পাবেনই পাশাপাশি নিশ্চিত ভাবে বার্ষিক হারে সুদ বা মুনাফা ও পেয়ে যাবেন। এতে আপনার অর্থের পরিমাণ কমবে না বরং বাড়বেই।

২) আপনার যদি এমন সিচুয়েশনে পড়তে হয় যে, জরুরী ভিত্তিতে আপনার টাকার প্রয়োজন, তখন আপনি কোনভাবেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে আপনার ফিক্সড ডিপোজিট ভঙ্ঘন করতে পারবেন না। এমন অবস্থায় আর্থিক প্রয়োজনীয়তা শিথিল করতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপনাকে ঋণ প্রদান করবে, যা আপনার প্রাথমিক আর্থিক চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।

বিঃদ্রঃ অনেক ব্যাংকেই যেকোন সময় Fixed Diposit এর টাকা উত্তোলন করা যায়। যেমনঃ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড।

৩) আপনি যখন ডিপোজিটে বিনিয়োগ করবেন তখন এটি হবে সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ। কেননা এটির মাধ্যমে আপনার বিনিয়োগকৃত অর্থের কোনো ক্ষতিসাধন হবে না। অন্যান্য বিনিয়োগ সেক্টরে যেমন লাভ লস উভয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ফিক্সড ডিপোজিটে কেবল আপনার লাভই হবে।

৪) আপনি আপনার চাহিদা মোতাবেক ডিপোজিটকৃত অর্থের মেয়াদ নির্ধারণ করতে পারবেন। আপনি চাইলে তিন মাসের জন্য টাকা জমা রাখতে পারেন অথবা ১০ বছর এর জন্যেও জমা রাখতে পারেন। নমনীয়তার এই ধারা থাকার কারণেই, বেশিরভাগ মানুষই ফিক্সড ডিপোজিট করতে উৎসাহিত হয়।

২০২৩ সালে ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভাল?

যেহেতু আপনি আর্টিকেলটি পড়ছেন তার মানে আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছেন আপনি যে কোন একটি ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট করবেন। তবে সমস্যা হচ্ছে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না ঠিক কোন ব্যাংকে নিজের অর্থ ফিক্সড ডিপোজিটে জমা রাখবেন। এখন সে বিষয়ে পরামর্শ দেয়ার ক্ষেত্রে কিছু কথা আপনাকে অবশ্যই বলার উচিৎ।

এখন এই পর্যায়ে আমি যদি আপনাকে ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য একটি বা একাধিক ব্যাংকের নাম বলেই থাকি সে ক্ষেত্রে আগামী এক বছর পর সে ব্যাংকের অবস্থা ভালো নাও থাকতে পারে। তাছাড়া ব্যাংকগুলো নিজেদের মতো করে নির্দিষ্ট সময় পর পর সুদের হার পরিবর্তন করতে থাকে। এমতাবস্থায় হলফ করে কোন ব্যাংকের নাম উল্লেখ করা উচিৎ হবে বলে মনে করছি না।

তবে আপনার সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুবিধার্থে, বাংলাদেশে শীর্ষস্থানীয় সরকারি বেসরকারি পর্যায়ের ব্যাংকগুলোতে ফিক্সড ডিপোজিট এর বর্তমান মুনাফার হার কত সে বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা দিয়ে দিচ্ছি। এতে করে আপনি নিজের মতো করে যাচাই-বাছাই করে নিজের পছন্দ মত ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট একাউন্ট করে রাখতে পারেন। নিম্নে বৃহৎ আকারে ছকের মাধ্যমে ব্যাংকের নাম সুদের হার এবং মেয়াদ ভিত্তিক সুদের হার কত তা উল্লেখ করা হলো:

ব্যাংকের নামসময় ভিত্তিক ফিক্সড ডিপোজিট এর হার সমূহ
তিন থেকে ছয় মাসছয় মাস থেকে এক বছরএক বছর থেকে দুই বছরদুই বছর থেকে তিন বছরতিন বছর থেকে অধিক বছর সমূহের ক্ষেত্রে
সরকারি ব্যাংক
AGRANI6.506.757.006.007.00
BASIC6.756.756.75-7.007.006.75-7.00
BDBL7.007.007.00
JANATA6.50-7.006.75-7.007.00
RUPALI6.50-7.006.75-7.007.007.007.00
SONALI4.70-5.114.98-5.286.00-6.356.00-6.35
বেসরকারি ব্যাংক
AB-BANK7.257.387.507.62
AL-ARAFAH4.50-6.004.50-6.254.50-6.254.50-6.254.50-6.25
BANK ASIA3.33-6.666.28-6.666.66-6.806.806.80
BCBL6.006.006.00
BRAC6.50-7.006.50-7.257.00-7.257.257.25
CBBL6.00-6.506.00-6.506.00-6.506.00-6.506.00-6.50
DHAKA5.00-6.335.00-7.255.00-7.505.50-7.007.24
DUTCH-BANGLA2.00-5.812.50-5.853.00-5.903.00-5.903.00-5.90
EBL2.25-6.752.50-7.002.75-7.003.003.00
GIBL7.007.257.507.507.50
ICB5.60-6.005.60-6.005.75-6.155.75-6.155.75-6.15
IFIC7.257.257.257.257.25
ISLAMI6.756.80-6.854.00-6.856.905.75-7.30
MUTUAL TRUST3.50-6.003.75-6.004.00-6.004.00-6.004.00-6.00
NRBCBL6.506.757.007.006.25-7.00
ONE BANK6.00-7.126.50-7.127.00-7.127.00-7.127.00-7.12
PRIME4.50-7.004.50-7.004.50-7.004.50-7.004.50-7.00
PUBALI6.41-6.436.656.786.786.78-7.67
SHAHJALAL5.00-6.255.00-6.005.00-6.005.00-6.005.00-6.00
SIBL3.00-7.007.00-7.257.25-7.50
SOUTHEAST4.00-6.504.00-6.504.00-6.754.00-6.50
STANDARD4.25-6.334.50-6.334.75-6.335.50-6.33
THE CITY2.53-6.533.04-6.833.54-7.004.13-6.624.13-6.62
TRUST BANK4.00-6.504.75-6.625.12-6.885.12-6.885.12-6.88
UNBL6.006.00-6.256.00-6.256.00-6.256.00-6.25
UTTARA5.00-6.005.25-6.255.50-6.505.50-6.505.50-6.50
1

আর্টিকেলটি পাবলিস্ট করা হয়েছে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী ব্যাংক গুলোর সুদের হার উল্লেখ্য করা রয়েছে। এ বছরে পরবর্তীতে আপডেট আসলে তা জানিয়ে দেয়া হবে।

আরো পড়ুনঃ সোনালী ব্যাংক ডিপিএস | DPS রেট, সুবিধা, তালিকা, স্কিম

বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক সমূহ (যেখানে ফিক্সড ডিপোজিট করার আগে আরেকবার ভাবুন)

তবে সবচেয়ে বেশি সুদের হার দেখে প্রলোভিত না হয়ে ব্যাংক সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি জেনে নিবেন। যে সকল ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি, সে সকল ব্যাংকে যেকোনো ধরনের বিনিয়োগ আশঙ্কার মুখে ফেলে। আপনাদের সুবিধার্থে নিম্নে কিছু জনপ্রিয় ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ জানানো হলো।

সর্বশেষ আপডেট: জুন, ২০২৩2

  • জনতা ব্যাংক: ১৭ হাজার ২৬৩ কোটি
  • অগ্রণী ব্যাংক: ১০ হাজার ৫৫৮ কোটি
  • রূপালী ব্যাংক:  ৬ হাজার ৪৬৬ কোটি
  • সোনালী ব্যাংকে: ৬ হাজার ৪৬৬ কোটি
  • ন্যাশনাল ব্যাংক: ৩ হাজার ৪৩৮ কোটি
  • ওয়ান ব্যাংকে: ২ হাজার ৭৯৩ কোটি
  • ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড: ৪ হাজার ৫১১ কোটি
  • পূবালী ব্যাংক: ১ হাজার ৫৭২ কোটি
  • ইউসিবি ব্যাংকে: ২ হাজার ৫৩ কোটি
  • এনআরবিসি ব্যাংক: ৬০০ কোটি

যে ১৩ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সবচেয়ে কম

যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কম সেখানে ডিপোজিট করা ভালো। কারণ, তাহলে আপনার ডিপোজিট করা টাকা তারা ঋণ হিসেবে প্রদান করে লাভ করতে পারবে। আর সহজেই সেই লাভ থেকে আপনাকে আপনার লাভের অংশ বুঝিয়ে দিতে পারবে। খেলাপি ঋণের পরিমাণ খুবই কম এমন ১৩ টি ব্যাংক হলোঃ3

  1. স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
  2. স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ
  3. এইচএসবিসি
  4. সিটি ব্যাংক এনএ
  5. ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশ
  6. উরি ব্যাংক
  7. কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন
  8. ইস্টার্ন ব্যাংক
  9. পূবালী ব্যাংক
  10. মিডল্যান্ড ব্যাংক
  11. বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক
  12. মধুমতি ব্যাংক
  13. কমিউনিটি ব্যাংক

ফিক্সড ডিপোজিট সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর  

১) সর্বনিম্ন কত টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করা যায়?

যদিও প্রতিটি ব্যাংকের ক্ষেত্রে নিয়ম আলাদা তবে সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকার নিচে এখন অব্দি ফিক্সড ডিপোজিট করতে দেখা যায়নি। তবে অনেক ব্যাংকেই ফিক্সড ডিপোজিটের সর্বনিম্ন পরিমান ৫০,০০০ টাকা।

২) ফিক্সড ডিপোজিট করতে কি কি লাগে?

Identity Verification এর জন্য NID, আপনার ছবি সহ ব্যাংক কতৃক প্রদানকৃত নির্দেশনা মোতাবেক ডকুমেন্টস।

৩) একাধিক ফিক্সড ডিপোজিট খোলা যায়?

হ্যাঁ, আপনার টাকা থাকলে যত খুশি কত ফিক্সড ডিপোজিট খুলতে পারবেন।

৪) ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙ্গা যাবে কি?

হ্যাঁ আপনি চাইলে আপনার ডিপোজিট যেকোনো সময় ভাঙতে পারেন। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ভাঙ্গলে সুদের পরিমাণ কম পাওয়ার পাশাপাশি চার্জ ধার্য হবে।

পরিশেষে কিছু কথা

এই ছিল বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ফিক্সড ডিপোজিট সম্পর্কে ব্যাসিক কিছু তথ্য। আপনি যখনই কোন ব্যাংকে ফিক্স ডিপোজিট করার কথা বিবেচনা করবেন, তখন উপরে উল্লেখিত নির্দেশনা গুলো অবশ্যই অনুসরণ করবেন। আপনার অর্থের বিনিয়োগ সঠিক ভাবে সফল হোক এই কামনা করে এই আর্টিকেল এখানেই সমাপ্ত করলাম। ধন্যবাদ।

তথ্যসূত্র

  1. ANNOUNCED INTEREST RATE CHART Of The SCHEDULED BANKS (DEPOSIT RATE)(PERCENTAGE PER ANNUM) ↩︎
  2. খেলাপি বৃদ্ধির শীর্ষে যে ২০ ব্যাংক- সময় টিভি ↩︎
  3. দেশে যে ১৩ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সবচেয়ে কম- The Daily Star ↩︎

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *