ব্যবসা বা বিদেশ গমনের জন্য আমাদেরকে অনেক সময় ঋণ নিতে হয়। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ লোকই নিরুপায় হয়েই ঋণ নেয়। কিন্তু বিভিন্ন শর্ত ও জামানতের কারণে অনেকের ক্ষেত্রেই ঋণ নিতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। বিনা জামানতে ঋণ বা লোন নিতে পারলে কেমন হতো? আসলেই কি সম্ভব? হুম, সম্ভব।
কোন কোন ব্যাংক বিনা জামানতে লোন দেয়? কিভাবে বিনা জামানতে ঋণ নিতে পারবেন তা জানতে সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ুন।
বিনা জামানতে লোন বলতে কি বুঝায়?
ঋণের জামানত বলতে বুঝায় ঋণের নিশ্চয়তা হিসেবে ঋণের বিপরীতে কোন সম্পদ বা তার মালিকানার কাগজপত্র যেমন খালি চেক, দলিল ইত্যাদি জমা রাখা। আর এসব জমা দেওয়া ছাড়াই যেই ঋণ গ্রহণ করা যায় তাই হলো বিনা জামানতে ঋণ বা লোন।
কোন কোন ব্যাংক বিনা জামানতে লোন দেয়?
বাংলাদেশে বর্তমানে একমাত্র কর্মসংস্থান ব্যাংক বিনা জামানতে লোন দিয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতাকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। একইসাথে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ঋণ বিনা জামানতে দেওয়া হয়। এর বেশি নিতে হলে আপনাকে জামানত দিতে হবে।
পড়তে পারেনঃ কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত
তবে, এখানে দুঃক্ষের বিষয় হলো বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন প্রদান করেনা। তবে এক্ষেত্রে আপনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন। এজন্য জামানত হিসেব আপনাকে স্বাক্ষরসহ ৩ টি খালি চেক (Blank Cheque) জমা দিতে হবে।
তাহলে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নিতে কি কি শর্ত পূরণ করতে হবে? কারা নিতে পারবে? কত টাকা নিতে পারবে? হ্যাঁ, এ বিষয়ে এখন পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করব।
কি কি শর্ত পূরণ করতে হবে?
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে লোন নিতে হলে আপনাকে নিম্নোক্ত শর্ত পূরণ করতে হবে।
- বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- আপনি যদি বেকার অথবা অর্ধবেকার হন।
- আপনার বয়স ১৮ বছর থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। তবে যদি পূর্বেও এই ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকেন তাহলে বয়স সীমা শিথিলযোগ্য হবে।
- আপনি যে প্রকল্পের জন্য লোন নিতে চাচ্ছেন সেটি পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- কোন ব্যাংক, এনজিও বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণখেলাপী নন।
- ব্যাংক এর যে শাখা থেকে লোন নিতে চাচ্ছেন তার অধিক্ষেত্রের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে অথবা অধিক্ষেত্রের কাউকে গ্যারান্টার হতে হবে।
- প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইকুইটি বহনের ক্ষমতা থাকতে হবে।
- আর্থিক আচরণের ক্ষেত্রে সুনাম থাকতে হবে এবং ঋণ পরিশোধের যোগ্যতা ও ক্ষমতা থাকতে হবে।
- ঋণ নীতিমালার সব নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
ঋণের পরিমাণ ও সুদের হার
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে কমপক্ষে ৫ হাজার টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনা জামানতে লোন নেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণের উপর ৮% সুদ পরিশোধ করতে হবে। তবে ঋণ পরিশোধ করতে দেরি হলে ১০% পর্যন্ত সুদ দেওয়া লাগতে পারে।
যোগাযোগ
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে লোন সম্পর্কে তো কিছুটা ধারণা পেলেন। বিস্তারিত জানতে চাইলে নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন।
- ঠিকানা: ১, রাজউক এভিনিউ, ঢাকা-১০০০
- ফোন: 01719960769
- ইমেইল pro@kb.gov.bd
শেষ কথা
বাংলাদেশে একমাত্র কর্মসংস্থান ব্যাংক কেবল বিনা জামানতে ঋণ দিয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে ব্যবসা বা দেশে থেকে কোন কাজের জন্যই ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে। বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে তারা ঋণ প্রদান করেনা।
আমি মোঃ আনিছুর রহমান,
ময়মনসিংহ ভালুকা থাকি।
গ্রামের বাড়িতে বেস কিছু জমি আছে,আমি চাচ্ছি সেখানে ফসল উৎপাদন করবো কিন্তু তেমন টাকা না থাকাতে পিছিয়ে আছি।তাই যদি ব্যাংক লোন পেতেম তাহলে বেকার থাকতে হতো না।আমার এখানে আসা ব্যাংক মল্লিক বাড়ি শাখায় কথা বলিছিলাম কিন্তু কাজ হচ্ছে না, দিনের পরে দিন গুরাচ্ছে।
এখন আমি কি ভাবে ব্যাংক লোন পেতে পারি..?
কর্মসংস্থান ব্যাংকে যোগাযোগ করুন।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ….
আমি বগুড়া থেকে বলছি বগুড়ায় আপনাদের শাখা আছে কী
প্রথম কথা হলো আমরা কোন ব্যাংক না। আমরা ব্যাংকিং তথ্য প্রকাশ করি। ব্যাংকিং বিষয়ক একটি ওয়েবসাইট।
আমি মোঃ আবু তালেব, আমি পেশায় একজন ব্যবসায়ী আমার কোম্পানিটি
নরসিংদী জেলায় অবস্থিত আমি কলকারখানার শাড়ীতে ব্যবহৃত রং বা কাচামাল আমদানি করি এবং বিক্রি করি ৷ কিন্তু, একটি লোনের বা টাকার অভাবে আমার ব্যবসাটির দিন দিন ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে, আমি বিগত ৬ মাস যাবৎ একটি লোনের জন্য ঘুরছি কিন্তু কেউ তেমন পাত্তা দিচ্ছে না, তবে কিছু কিছু ব্যাংক এর ম্যানেজার বলেছেন আমাদের ব্যাংকে প্রথমে A/C খুলুন আগামি ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে জানাবো কিন্তু আমার লোনটি খুবই জরুরি দরকার এখন আমি কি করতে পারি ৷
দুঃক্ষিত! এ ব্যাপারে আমরা আপনাকে কোন সহযোগিতা করতে পারছিনা।