প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম সম্পর্কে জানার আগে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক নিয়ে কিছু তথ্য অবশ্যই জানা প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকার দ্বারা পরিচালিত ব্যাংকটির কার্যক্রম শুরু করা হয় ২০১০ সালে, যার মূখ্য উদ্দেশ্য হলো – প্রবাসীদের কল্যাণের জন্য আর্থিক সুবিধা প্রদান করা।
এখন অব্দি প্রায় ২৮ হাজারের বেশি বিদেশগামী কর্মীদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করে ব্যাংকটি। বাংলাদেশের ৬৪ জেলায়ই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ব্যাংকটি, তাছাড়া ২০১৪ সাল থেকে অনলাইনে কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর গ্রহণযোগ্যতা আরো ব্যাপক ভাবে বেড়ে চলছে।
আপনি কি একজন প্রবাসী বা কাজের জন্য দেশের বাইরে যেতে ইচ্ছুক, তবে পর্যাপ্ত আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় যেতে পারছেন না? এবং যথাযথ একটি সমাধান খুঁজছেন? তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য বেশ হেল্পফুল হবে। কারণ এখানে আলোচনা করবো প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা, নিয়ম, আবেদন প্রসেস সহ সব কিছু।
তবে প্রথমেই জেনে নেয়া যাক কত ধরনের লোনের সুযোগ করে দিচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের প্রকারভেদ
১) অভিবাসন ঋণ – যারা মূলত বিদেশ যেতে চাচ্ছে, কিন্তু ভিসা হাতে পাওয়ার পরেও আর্থিক অসচ্ছলতার জন্য যেতে পারছে না, তাদের জন্য যে ঋনের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেটাই অভিবাসন ঋণ।
২) পুনর্বাসন ঋণ – বিদেশে যাওয়ার পর বিভিন্ন কারনবসত সেখান থেকে দেশে ফিরে আসার পর নিজের দেশে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য কোনো প্রকল্প গ্রহন করলে তাদের যে ঋণ প্রদান করা হয় সেটাকে পুনর্বাসন ঋণ বলে আখ্যায়িত করা হয়।
৩) বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ – বিদেশে চাকরি করে এমন কোনো প্রবাসীর পরিবারের সদস্য যেমন (মা, বাবা, ভাই, বোন, স্ত্রী, স্বামী, ছেলে, মেয়ে) এর ঋণ প্রয়োজন হলে, জামানত বিহীন এবং জামানত সহ যে ঋণ প্রদানের সুবিধা প্রদান করা হয় সেটাকে বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ বলে।
৪) বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ – এটা শুরু হয়েছে ২০২০ সালে। যখন পুরো পৃথিবীতে করোনার মহামারি চলছিলো, সেসময় বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেশে ফিরে আসতে হয়েছে বা মারা গিয়েছে। এরুপ পরিস্থিতিতে তাকে অথবা তার পরিবারের কোনো একজনকে পুনর্বাসনের জন্য যে ঋণ সুবিধা দেয়া হবে সেটা হবে বিশেষ পুনবার্সন ঋণ।
আচ্ছা এবার জেনে নেয়া যাক এই সকল ক্ষেত্র সমুহে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোক কিভাবে পাওয়া যাবে, কি ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে এবং এর সাথে যুক্ত বাকি বিষয় গুলো সম্পর্কে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম
সকল ব্যাংকের ক্ষেত্রেই ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত থেকে থাকে। এই ব্যাংকের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম – সম্পর্কে যে সকল তথ্য গুলো জানা জরুরি সেসব এক এক করে উপস্থাপন করা হচ্ছে। যেহেতু মোট ৪ ধরনের লোনের ব্যবস্থা রয়েছে তাই প্রতিটি ধাপেই ৪ টি লোনের সম্পর্কে জানানো হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ঋণ গ্রহনযোগ্যতা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
১। অভিবাসন ঋণ
- ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা
- পাসপোর্ট, ভিসা, ম্যান পাওয়ার স্মার্ট কার্ডের ফটোকপি
- ২ জন জামিনদার এবং তাদের যাবতীয় তথ্য
- যেকোনো ১ জন জামিনদারের স্বাক্ষরকৃত ব্যাংকের ৩ টি চেকের পাতা
- ব্যাংকের উক্ত শাখায় অবশ্যই একটি একাউন্ট খোলা থাকতে হবে
২। পুনর্বাসন ঋণ
- যে স্থানে ব্যবসা পরিচালনা করা হবে সেই স্থান থেকে নিকটবর্তী প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা থেকে ঋনের আবেদন করতে হবে।
- ব্যাংক কতৃক প্রদানকৃত ফর্ম পূরণ করতে হবে।
- আবেদনকারীর ৩ কপি ও জামিনদারের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, এবং উভয়ে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, পৌরসভা বা ইউনিয়ন থেকে প্রাপ্ত সনদপত্র।
- ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি যদি থেকে থাকে।
- প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য সহ বিগত ২ বছরের যাবতীয় আয় ব্যয় বিবরনী।
- জামানতি সম্পত্তির ফটোকপি জমা দিতে হবে।
- ঋণ গ্রহীতার নিজস্ব বিনিয়োগ কত তার ঘোষনাপত্র দেখাতে হবে।
- বিদেশ থেকে প্রত্যাগমন সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজ পত্র সাবমিট করতে হবে।
- যদি ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে কোনো স্থান থেকে ঋণ গ্রহন করে থাকে তবে তার ঘোষনাপত।
- ঋণ গ্রহীতার নিজের ব্যাংক হিসাবের তথ্য ও ৩ টি চেক পাতায় স্বাক্ষর করে প্রদান করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ খুব সহজে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
৩। বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ
- ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এলাকায় অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখাতে আবেদন করতে হবে।
- সেখান থেকে প্রদানকৃত ফর্ম পূরন করুন।
- আবেদনকারীর ৩ কপি ও জামিনদারের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, এবং উভয়ে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, পৌরসভা বা ইউনিয়ন থেকে প্রাপ্ত সনদপত্র।
- যদি ট্রেড লাইসেন্স থাকে তবে দেখাতে হবে।
- ১ বছরের আয়-ব্যয় বিবরনী সহ প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণ দেখাতে হবে।
- যদি প্রকল্পের স্থান ভাড়াতে নেয়া হয়ে থাকে তবে সেখানের লিজের চুক্তিপত্র দেখাতে হবে।
- কোনো স্থান থেকে প্রশিক্ষন গ্রহন বা অভিজ্ঞতা থাকলে তার প্রমান দেখাতে হবে।
- অন্য কোনো স্থান থেকে ঋণ গ্রহন করতে তা জানাতে হবে এবং ৩টি চেক পাতা ব্যাংকে স্বাক্ষর করে জমা দিতে হবে।
- অভিবাসী অথবা দেশ প্রত্যাগত করেছেন এমন ব্যক্তির অনুরোধ পত্রের প্রয়োজন হবে।
৪। বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ
- কেবল মাত্র ২০২০ সালের জানুয়ারির ১ তারিখের পর দেশে ফিরে আসা অভিবাসীদের জন্য এই ঋণ প্রজোয্য হবে।
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট প্রয়োজন যেখানে আবেদনকারীর বহির্গমন ও আগমনের সীলযুক্ত থাকবে।
- BMET স্মার্ট কার্ড অথবা চাকরিরত দেশে আইডি কার্ড অথবা বৈধ পথে বিদেশ গমনের প্রমানপত্র।
- আবেদনকারীর ৩ কপি ও জামিনদারের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, এবং উভয়ে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, পৌরসভা বা ইউনিয়ন থেকে প্রাপ্ত সনদপত্র।
- তাছাড়া ইতিমধ্যে বলে ফেলা ডকুমেন্টস গুলো যেমন: ট্রেড লাইসেন্স, প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য, অভিজ্ঞতার প্রমান, অন্য কোনো স্থান থেকে ঋণ গ্রহন করে থাকলে সেটার ইনফরমেশন সহ ঋণ গ্রহীতার স্বাক্ষরিত ৩ টি চেক পাতা প্রয়োজন হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সীমা, মেয়াদ ও সুদের হার
এই পর্যায়ে জানাবো যখন আপনি যেকোনো ধরনের ঋণ গ্রহন করতে যাবেন তখন সেখানে কোন কোন সীমাবদ্ধতা থাকবে। জানাবো প্রতিটা ঋণের সীমা, ঋণের মেয়াদ ও সুদের হার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
আরো পড়ুনঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন থেকে লোন নেওয়ার পদ্ধতি
১। অভিবাসন ঋণ
আপনি যদি নতুন ভিসা ধারী হয়ে থাকেন তবে আপনাকে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করা হবে যার মেয়াদ থাকবে ৩ বছর পর্যন্ত। এবং আপনি যদি রি-এন্ট্রি ভিসা ধারী হয়ে থাকেন তবে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা ঋণ পাবেন যার ।বিপরীতে মেয়াদ থাকবে ২ বছরের। উভয় ক্ষেত্রেই সরল সুদের হার ৯%।
২। পুনর্বাসন ঋণ
পুনর্বাসন ঋণ এর ক্ষেত্রে আপনি সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকার ঋণ পেতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে কিছু কন্ডিশন আছে। যা হচ্ছে – জামানত বিহীন ঋণ দেয়া হবে কেবল ৩ লক্ষ টাকার জন্যই। যখনই ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা অব্দি ঋণ ধার্য করা হবে তখন জামানত প্রদান করতে হবে।
৫ লক্ষ টাকার বেশি ঋণ গ্রহন করার ক্ষেত্রে ঋণ গ্রহীতা অথবা জামিনদারের স্থাবর সম্পত্তির রেজিস্ট্রি মটর্গেজ মূল্যে ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। এই ঋনের পরিশোধের সময় সর্বোচ্চ ১০ বছর এবং সুদের হার ৯%।
৩। বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ
উক্ত প্রকল্পের ক্ষেত্রে নগদ ঋণ প্রদান করা হবে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা। তবে জামানত বিহীন সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা অব্দিই প্রদান করা হবে। তাছাড়া ৫ লক্ষ এর মধ্যে ঋণ গ্রহনে জামানত প্রদান এবং ৫ লক্ষ টাকার উর্ধ্বে হলে ঋণ গ্রহীতার স্থাবর সম্পত্তির রেজিস্ট্রি মর্টগেজ মূল্যে ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।
বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণের ক্ষেত্রে মেয়াদ থাকবে সর্বোচ্চ ১০ বছর। এবং সুদের হারের ক্ষেত্রে পুরুষের জন্য ৯% এবং মহিলার ক্ষেত্রে ৭% হবে।
বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ
বিশেষ পুনর্বাসনে একক ঋণের ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ টাকা এবং গ্রুপ ঋণের ক্ষেত্রে ৫ জনের সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রেও জামানত বিহীন ঋনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকাই থাকবে। তাছাড়া বাকি সব নিয়ম পূর্বে উল্লেখিত অন্যান্য শর্ত মোতাবেক।
এক্ষেত্রে ব্যবসায়ের প্রকৃতি ও ধরন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫ বছরের মেয়াদ ও সুদের হার ৪% ধার্য করা হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম
আপনি যদি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সম্পর্কে জানতে এতটুকু পর্যন্ত আসতে পারেন তবে ইতিমধ্যে জেনে গিয়ে থাকবেন যে, উক্ত ঋণ গ্রহন করতে আপনাকে অবশ্যই একটি ফরম পূরণ করতে হবে।
এই ফরমটি আপনি চাইলে ব্যাংকে উপস্থিত থেকেও পূরণ করতে পারবেন যা ব্যাংক কতৃপক্ষ প্রদান করবে। অন্যথায়, আপনি চাইলে এখানে ক্লিক করে ফরমটি ডাউনলোড করে ফরমটি ফিলাপ করে সেটাকে নিয়ে নিকটবর্তী ব্যাংকের শাখায় জমা দিতে পারেন। তাছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি থেকে শুরু করে যাবতীয় ফরম পেয়ে যাবেন এখানে ক্লিক করে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা
একটা সময় ছিলো যখন প্রবাসীরা কোনো সমস্যায় পড়লে গুটিকয়েক পরিচিত লোক ছাড়া তেমন কোথাও সাহায্য পেত না। কিন্তু বর্তমানে তেমন দৃশ্য আর নেই। এখন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত উদ্যোগের ফলে যেকোনো প্রবাসী আর্থিক সমস্যায় পড়লে তার সমাধান দিতে আছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। উক্ত স্থান থেকে যে সুবিধা গুলো পাওয়া যাচ্ছে তা হলো –
১) কেউ যদি দেশের বাইরে কোথাও কর্ম সংস্থানের জন্য যেতে চায় এবং পর্যাপ্ত আর্থিক সচ্ছলতার জন্য যেতে না পারে তবে উক্ত বিষয়ে সুবিধা প্রদান করছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক।
২) প্রবাসে থাকা কালীন কোনো প্রবাসী যদি কোনো ধরনের সমস্যায় পড়ে বা আর্থিক অবনতির স্বীকার হয় তবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক খুব সহজেই ঋণ প্রদানের মাধ্যমে সেই অবনতি গুটিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করেছে।
৩) কোনো প্রবাসী যদি পুনরায় দেশে ফিরে নিজ দেশেই নিজের কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে চায় সেক্ষেত্রেও সহজে প্রদানকৃত ঋনের মাধ্যমে সুবিধা প্রদান করছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক।
আরো পড়ুনঃ যেকোন ব্যাংক লোন পদ্ধতি নিয়ে জানুন
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন করার পদ্ধতি
উক্ত কাজের জন্য আপনি দুইটি উপায় অবলম্বন করতে পারেন। প্রথমত আপনি অনলাইনে আবেদন ফরম ডাউনলোড করে সেটাকে সঠিক ভাবে পূরণ করে তা নিয়ে আপনার এরিয়ায় থাকা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখায় গিয়ে তা জমা দিতে পারেন।
অথবা আপনি সরাসরি যাবতীয় ডকুমেন্টস গুলো নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে সেখান থেকে আবেদন ফরম পূরণ করে আপনার প্রয়োজনীয় ঋনের জন্য আবেদন করতে পারেন। ব্যাংকের সকল শাখা এক নজরে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আর্টিকেল থেকে যা শিখলেন
পরিশেষে, এই ছিলো “প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম” সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সমূহ। যেখানে ব্যাংক কর্তৃক প্রদানকৃত লোনের প্রকারভেদ থেকে শুরু করে লোনের পরিমাণ, যোগ্যতা, মেয়াদ ও সুদের হার সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। তাছাড়া রয়েছে অনলাইন আবেদন ফরম ও কিভাবে আবেদন করবেন সেই পদ্ধতি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সমূহ। ব্যাংকিং সম্পর্কিত এরকম সকল তথ্য জানতে ব্যাংকিং হেল্পার এর সাথেই থাকুন।